রমজান
ইফতার
২০২২
এই রমজানে রোজাদারদেরকে ইফতার করান এবং সোয়াবের অংশীদার হউন
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আমরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।
আপনারা যারা এই মহৎ কাজে যুক্ত হতে চান তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগ: info@pathwaybd.org

আসন্নরমজান

সর্বোত্তম মানবিক কাজের জন্য আমাদের যাত্রায় অংশ নিতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি

"পাথওয়ে'র" ইফতার তহবিল কেন?

একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে পাথওয়ে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের একটি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে। প্রতিবছর পাথওয়ে সাধারণ মানুষদের জন্য বিনামূল্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে। খুব সহজেই সংস্থাটির এসব মহৎ কাজে সহায়তা দানের মাধ্যমে যে কেউ অংশ নিতে পারে। পাথওয়ে তার নিয়ম এবং বিধি অনুযায়ী চলার মাধ্যমে আপনাদের এই সহায়তামূলক অংশগ্রহণকে বিশ্বাস এবং আস্থার সাথে মূল্যায়ন করে থাকে।

কিভাবে পাথওয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়??

প্রতি বছর রমজান মাসে পাথওয়ে রোজাদার ব্যক্তিদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে থাকে। আমাদের খাবারের প্যাকেট গুলো এমন ভাবে সাজানো থাকে যার মধ্যে একজন মানুষের মৌলিক পুষ্টি গুনাগুন বিদ্যমান খাবার থাকে।

এই খাবারগুলো আমাদের সাধ্য অনুযায়ী মানুষদের কাছে প্রতিদিন পৌঁছে দেই। প্রতিবছর আমাদের এই ইফতার কার্যক্রম বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। এসব প্রচারিত নিউজ এর কপি এবং আমাদের নিজস্ব ধারণ করা ভিডিও ক্লিপস আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে।
এই বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ কার্যক্রমে আপনার অনুদান একজন সায়িম বা রোজাদার মানুষের খাবার জোগাতে সহায়তা করবে।

এর মাধ্যমে কিছু সময়ের জন্য হলেও জ্যামে আটকে পড়া, কাজের জন্য বের হওয়া বাড়ি পৌছার পূর্বে রাস্তায় চলা মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব।

সিয়াম পালনকারী বা রোজাদারকে ইফতার করানো ফযিলত অপরিসীম। হাদিসে এর ফজিলত সম্পর্কে উল্লেখ আছে, 

যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে (রোজাদারের) সমান নেকীর অধিকারী হবে। আর তাতে রোজাদারের নেকীর কিছুই কমবে না।” (তিরমিযী হাসান সহীহ) [তিরমিযী ৮০৭, ইবনু মাজাহ ১৪৪৬, আহমাদ ২১১৬৮, দারেমী ১৭০২]

মানুষ মানুষের জন্য, আমরা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই কাজে লিপ্ত। আপনাদের  সর্বোচ্চ সহযোগীতা কামনা করছি।

 

Ramadan 2023 iftar plan donate now pathway

ইফতার ডোনেশন প্রোগ্রাম ২০২৩

রমজানের প্রতিটি মুহূর্তই তাৎপর্যপূর্ণ,
কিন্তু ইফতারের মুহূর্তটা একটু অন্যরকম, সে এক অভুতপূর্ণ আনন্দদায়ক অনুভূতি।
একসাথে আমরা অসাধারণ কিছু করতে পারি।
২০২৩ এর এই রমজানে দানের হাত আরো বাড়িয়ে দিন, অনুদান পাঠিয়ে এবং পরামর্শ দিয়ে পাথওয়ের পাশে থাকুন।

কল্যাণ সহায়তার একটি চমৎকার ক্ষেত্র:

পাথওয়ে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র, অভাবগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা করা পাথওয়ের লক্ষ্য। সমাজের পিছিয়ে পড়া জন গোষ্টির জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে একটি টেকসই ও উন্নত সমাজ গঠন করা পাথওয়ের উদ্দেশ্য।

পাথওয়ে বিশ্বাস করে পরিবেশগত দিক থেকে একটি সুন্দর, নিরাপদ, ও লিঙ্গ বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা যা বাংলাদেশে সংস্থাটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। অন্যন্য সকল কর্মকান্ডের মধ্যে পাথওয়ে দরিদ্র এবং অভাবগ্রস্ত মানুষদের কল্যাণে নেয়া পদক্ষেপগুলোকে বেশি প্রাধাণ্য দেয়।

পাথওয়ে কর্তৃক টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ দূরীকরণ, অশিক্ষিতদেরকে শিক্ষার আলো দেখানো, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ, শিশু শিক্ষায় উৎসাহ প্রদান, স্কুল, কলেজ, প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করা এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ, বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিতে কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য।

নিরাপদ ও ভারসাম্যমূলক পরিবেশ রক্ষায় পাথওয়ে খুবই সচেষ্ট। বৃক্ষ রোপনে উৎসাহ প্রদান ও বৃক্ষ নিধণের ক্ষতিকারক দিক গুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে পাথওয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম রয়েছে। সোলার ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন গ্যাস কমিয়ে আনার বিষয়ে উৎসাহ প্রদানের মধ্য দিয়ে পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপও নিয়েছে পাথওয়ে।

সুবিধা বাঞ্চিত ও পথশিশুদের কল্যাণে পাথওয়ের বাৎসরিক বিভিন্ন কর্মসূচী রয়েছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তায় পাথওয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মানুষকে সতর্ক করতে পাথওয়ে কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচীসহ অসহায় মানুষদের পুনর্বাসন, বিশেষ করে শারিরীক প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা দেয়া, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করাও পাথওয়ের কর্মসূচীতে রয়েছে।

এধরনের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি প্রতিবছর পাথওয়ে “বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ” কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে থাকে। প্রতিবছর পাথওয়ে বিভিন্ন রোজাদারদের মধ্যে যারা বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বসবাস করে, দরিদ্র, অসহায়, এমনকি পথচারীদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে থাকে। অসহায় ও গৃহহীনদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে পাথওয়ে।

পাথওয়ের এই বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ কর্মসূচীকে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষরা একটি মহৎ উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে। পাথওয়ের ইফতারের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন খিচুড়ি/বিরিয়ানি এবং পানি ও ফল রয়েছে।

অসহায় মানুষদের সহায়তার মাধ্যমে উদারতা দেখানোর এটা মুসলিম উম্মার জন্য একটি উপযুক্ত সময়্। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পুষ্টি, অন্য, বস্ত্র, বাসস্থানহীন অনেক মানুষ রয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের এসব চাহিদা পূরণ করা আমাদের দায়িত্ব।


এই কল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে পাথওয়ে রমজান মাসে ইফতার বিতরণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, দুস্থ অসহায় মানুষের কাছে ইফতারের খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া, বিশেষকরে যারা বাড়ি ঘর না থাকায় রাস্তায় বসবাস করে এবং খাবার যোগাড় করার ক্ষমতা নেই।
রমজান এমন একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাস, যে মাসে আমরা পূণ্যের আশায় বিভিন্ন মহৎ ও কল্যাণমূলক কর্মকান্ড করে থাকি। রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ খুবই মহৎ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি কাজ যার প্রতিদান অনেক।

রাসূলুল্লাহ (সা.) এ প্রসঙ্গে বলেছেন, এই মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদাকে ইফতার করাবে, ফলস্বরূপ তার গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে ও জাহান্নাম হতে তাকে নিষ্কৃতি দান করা হবে। আর তাকে আসল রোজাদারের সমান সওয়াব দেয়া হবে। কিন্তু সেজন্য আসল রোজাদারের সওয়াব কিছুমাত্র কম করা হবে না।

আমাদের ইফতার দান কর্মসূচিতে অংশ নিন

সমস্যা যেখানেঃ

বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি অন্যতম জনবহুল এবং উন্নয়নশীল দেশ। একটি বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী এদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে, এরপরে তাদেরকে চরম ক্ষুধার যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ দিনে এক বেলা খাবার জোগাড় করতে সক্ষম। অনেকেই চাকরির আশায় বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে ঢাকায় পাড়ি জমায় তবে চাকরি জোটাতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে তারা মাদক এবং বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়। এদের অনেকেই মনে করে এই মাদকাসক্তি ক্ষুধার যন্ত্রণা ভুলিয়ে রাখে।


বাংলাদেশে শতকরা ২৪.৩ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং তাদের মধ্যে চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে শতকরা ১৭.৬ ভাগ যা আমাদেরকে দেখিয়ে দেয় কি পরিমান সমস্যার মধ্য দিয়ে তারা জীবন যাপন করছে। ঢাকা শহরে ক্ষুধার যন্ত্রণায় শিশুদেরকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। গৃহহীন, বৃদ্ধ, বয়স্ক নারী এমনকি প্রতিবন্ধী মানুষদেরকে রাস্তা, টার্মিনালসহ বিভিন্ন জায়গায় ভিক্ষা করতে দেখা যায়। রমজান মাসে এসব অসহায় মানুষদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। তাদের অনেকেই রোজা ভাঙ্গার জন্য অথবা ইফতার করার জন্য খাদ্য কেনার সামর্থ্য রাখে না। অনেক পরিবারের কাছেই ইফতার করার জন্য কিছুই থাকেনা।

এই পরিসংখ্যান আমাদের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে থাকে অন্যের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার, বিশেষ করে তাদের ওপর যারা সামর্থ্যবান এবং খাদ্য ও বাসস্থান জোগাড় করার সামর্থ্য রাখি। আমরা এই দায়িত্ব পালনে নৈতিকভাবে এবং ধর্মীয়ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ এমনকি শেষ বিচারের দিন এ বিষয়ে আমরা জবাবদিহিতার মুখোমুখি হব।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-বলেছেন –

“আল্লাহ তা'য়ালা যখন বিচার দিবসে তার বান্দার বিচার করবেন তখন তিনি নিশ্চয় তার বান্দাকে বলবেন, “হে আদম সন্তান! আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম অথচ তুমি আমাকে খাওয়াওনি” সে উত্তর দিবে, যখন নাকি আপনি সমগ্র বিশ্বজগতের প্রতিপালক তখন আমি আপনাকে কীভাবে খাওয়াতে পারি? তিনি বলবেন, “তুমি কি জানতে না যে, আমার বান্দা অমুকের পুত্র অমুক ক্ষুধার্ত ছিল কিন্তু তুমি তাকে খেতে দাওনি। হায়! তুমি যদি তাকে খেতে দিতে তবে তুমি তা (অর্থাৎ তার পুরস্কার) আমার নিকট পেতে। হে আদম সন্তান আমি তৃষ্ণার্ত ছিলাম অথচ তুমি আমাকে কিছু পান করতে দাওনি।” সে বলবে, আপনি হলেন সমগ্র বিশ্বজগতের প্রতিপালক, আপনাকে আমি কীভাবে পান করতে দিতে পারি? তিনি বলবেন, “তুমি কি জানতে না যে আমার বান্দা অমুকের পুত্র অমুক পিপাসার্ত ছিল, কিন্তু তুমি তাকে পান করতে কিছু দাওনি। হায়! যদি তুমি তাকে পান করাতে হবে তার পুরস্কার আমার নিকট পেতে। “হে আদম সন্তান আমি অসুস্থ ছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে দেখতে আসনি” সে বলবে, “আমি আপনাকে কীভাবে দেখতে আসতে পারি? আপনিতো সারা বিশ্বজগতের প্রতিপালক” তিনি বলবেন, “তুমি কি জানতে না যে, আমার বান্দা অমুকের পুত্র অমুক অসুস্থ ছিল, কিন্তু, তুমি তাকে দেখতে যাওনি। হায়! যদি তুমি তাকে দেখতে যেতে, তবে তুমি আমাকে তার নিকট পেতে।”

আল্লাহ তায়াআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন:
যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ। [ সুরা বাকারা ২:২৬১ ]

রমজান আরবি বর্ষপঞ্জির ৯ম মাস এবং ইসলাম ধর্মমতে সবচেয়ে পবিত্রতম মাস এটি। এই মাসে মুসলমানগণ ধর্ম চর্চার অংশ হিসেবে ভোর থেকে সুর্যাস্তের পর পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও যৌনক্রিয়াদি বর্জন করে থাকেন।

রমজান ২০২৩ এর ইফতার বিতরণ কর্মসূচীতে যোগ দিন
এবং রোজাদারদেরকে ইফতার খাওয়াতে সাহায্য করুন

সংবাদমাধ্যম সম্প্রচার

ইফতার প্রোগ্রামের মিডিয়া কভারেজ

পাথওয়ে পরিচিতিঃ

পাথওয়ে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় অলাভজনক সংস্থা, যার লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান, এসবের পাশাপাশি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তা করা। পাথওয়ে সারা বছরব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
পাথওয়ে বিশ্বাস করে যে, শিক্ষা সবার জন্য। প্রাথমিকভাবে পাথওয়ে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রদান করে। বর্তমানে, প্রায় ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং ১৫ শিক্ষক এবং কর্মচারী রয়েছে যারা এই শিশুদের যত্ন নিচ্ছেন। আমরা এইসকল বাচ্চাদের খেলার ছলে এবং সৃজনশীলতার সাথে শেখার জন্য দুর্দান্ত পরিবেশ সরবরাহ করি।

বেকার সমস্যা আমাদের দেশের বৃহত্তম সমস্যাগুলির মধ্যে একটি অন্যতম। বর্তমানে, তরুনদের প্রায় ২৫% ই বেকার এবং প্রতি বছর উচ্চ হারে এই সংখ্যা বাড়ছে। পাথওয়ে বেকারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে যাতে তারা স্ব-কর্মসংস্থান করে এবং বিদেশে যেতে তাদের সহায়তা হয়।

আমাদের দেশে সড়ক নিরাপত্তা আর একটি উদ্বেগ। পাথওয়ে আমাদের চালকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে একটি ড্রাইভিং সুরক্ষা ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালায়। আমাদের কয়েকটি মূল বৈশিষ্ট্য হ'ল শ্রমজীবী ​​মহিলা এবং তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা, প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি প্রাপ্তির জন্য পাথওয়ের উদ্দেগে পাথওয়ের সহযোগি প্রতিষ্ঠান থার্ডল্যান্সার  তথা একটি ফ্রিল্যান্স জব মার্কেটপ্লেস থার্ডলেন্সার ডট কমে তার দক্ষতার প্রোফাইল  তৈরিতে সহযোগীতা করে থাকে।  সেখানে যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করে তার দক্ষতা অনুযায়ী ফ্রিলেন্সার হিসেবে কাজ করতে পারে।   
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্নভাবে সহায়তার মাধ্যমে পাথওয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে নিয়ে আসার জন্য প্রচেষ্টা চালায় এবং প্রয়োজনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি সরবরাহে সহযোগীতা করে।
 
বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দ্বারা ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক নামক প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাথওয়ের সহযোগি প্রতিষ্ঠান পাথওয়ে হেলথ কেয়ার সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। মা ও শিশুর সুস্বাস্থের প্রতি খেয়াল রেখে ইপিআই কার্যক্রম বা সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি নিয়মিত পরিচালনা করে।

এবং, কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালে প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকে।   
রক্তদান কর্মসূচির জন্য পাথওয়ে ব্লাড কেয়ার নামে একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করেছে যেখানে সারা দেশব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীদের তথ্য সংরক্ষিত রাখে, যাদের রক্তের প্রয়োজন তারা পাথওয়ের এই পোর্টাল থেকে রক্তের গ্রুপ মিলিয়ে ডোনার খুজে পেয়ে উপকৃত হয়।  

দুর্যোগ-ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধার করতে এবং ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের সহায়তা করার জন্য পাথওয়ে সর্বদা সরকারের সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করে।  
 
আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ। তারা সর্বদা অবহেলিত থাকে এবং তাদের প্রতি কিছু নেতিবাচক অনুভূতি রাখে। পাথওয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ফ্রি প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

তৃতীয় লিঙ্গ সম্পর্কে সমাজের মানুষদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য পাথওয়ে জন সাধারণের মাঝে সচেতনমূলক বার্তা প্রচার করে।

প্রতি বছর পাথওয়ে দ্বারা পরিচালিত বৃহত্তম প্রোগ্রামগুলির মধ্যে একটি হল "ইফতার প্রোগ্রাম" যা পূরো রমজান মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতি বছর রমজান মাস আমাদের অনেক উপকার নিয়ে আসে। এই মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য না খেয়ে এবং সকল প্রকার নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকে।

সিয়াম বা রোযা তাকওয়া অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম। রোযা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের একনিষ্ট বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ

রমজান কোথায় পালিত হয়?

ইসলামিক পবিত্র রমজান বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের আধ্যাত্মিক জীবনের উপর তাদের জোর ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি সময়কাল। বিশ্বজুড়ে রমজান উদযাপিত হয়। বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম প্রতি বছর রমজান উদযাপন করতে বাধ্য।

২০২৩ সালে রমজান কখন শুরু ?
ইসলামে, মাসের শুরু চাঁদের উপর নির্ভর করে। এই বছর রমজান মাস মার্চ মাসের ২৩ তারিখ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবার ইন শা আল্লাহ।

Search